আমি যা খুঁজছি, তাকে বলে জুডাস কয়েন। জুডাস কয়েন হলো সেই তিরিশটি রূপার পয়সা, যার বিনময়ে জুডাস ইসকারিয়াত যিশু খ্রিষ্টকে রোমানদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তিরিশটা পয়সা রূপার হলেও জুডাসের হাতে পড়ার পর ওগুলোর রঙ লাল হয়ে যায়। নাম হয় ব্লাড কয়েন। ধরে নেয়া হয় যিশু খ্রিষ্টের রক্ত লেগে আছে ওতে। সেন্ট জনের মতে, জুডাসের ওপর খোদ শয়তান ভর করেছিল। আগে থেকেই এই পয়সাগুলোর বিশেষ ক্ষমতা ছিল। জুডাসের হাতে পড়ে ওগুলো হয়ে ওঠে আরো অভিশপ্ত।
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন উপন্যাসটি অলৌকিক “প্রাচীন মুদ্রা“কে কেন্দ্র করে।উপন্যাসিকাটি আমার কাছে প্রচন্ড রকম ভালো লেগেছে।উপন্যাসটির মূল চরিত্র শরৎ সান্যাল।যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে এমফিল করছেন।থিসিস লেখবার তথ্য সংগ্রহের জন্য আসতে হয় হাড়াভাঙা নামক স্থানে।থিসিসের বিষয় ব্রিটিশ আমলের নীলকরদের উত্থান।ঘটনা চক্রে তার হাতে চলে আসে Major Humaid Al Balushi র ডাইরী।এই ডাইরী থেকে শুরু হয় আরেক ইতিহাস।ডাইরির মাধ্যমেই সে খুঁজে বের করে “জুডাস কয়েন“।এর পর কি হয় সেই মুদ্রার সাথে?জানতে হলে পড়তে হবে প্রাচীন মুদ্রা উপন্যাসটি।
রহস্য পত্রিকার নভেম্বর ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ৩৪ পেজের এই উপন্যাসিকাটি।হার্ড কভারের বইয়ে প্রায় একশ পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে যাবে এই উপন্যাসটি।উপন্যাসটি সুখপাঠ্য।ইতিহাস আর অলৌকিকতার এমন সংমিশ্রণ খুব কম দেখা যায়।মুক্তিযুদ্ধ,নীলকরদের সম্পর্কে ইতিহাস,ব্রিটিশ উপনিবেশ,গ্রীক মিথ,মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত ইতিহাস,হিন্দু পুরান সহ বেশ কিছু ইতিহাস স্থান পেয়েছে এতে।
প্রাচীন মুদ্রা উপন্যাসটির ঘটনা এমন আকস্মিকভাবে মোড় নেয় যেটা সত্যিই রোমাঞ্চকর।লেখক মুহম্মদ আলমগীর তৈমূর।
তাহলে পড়ে ফেলুন প্রাচীন মুদ্রা।
বইয়ের নাম : প্রাচীন মুদ্রা
লেখক: মুহম্মদ আলমগীর তৈমূর।
PDF SIZE : 15.31 MB
PAGE 34